বই পর্যালোচনা: এক নজরে কুরআন
লেখক: মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি
প্রকাশনা: সত্যায়ন প্রকাশনী
প্রকাশকাল: ২০২৫
বিষয়বস্তু: কুরআনের সারাংশ ও সূরাদের বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ
সারমর্ম
“এক নজরে কুরআন” একটি সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যবহুল গ্রন্থ, যেখানে সম্পূর্ণ কুরআনের বিষয়বস্তু টেবিল আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। ১১৪ টি সূরার নাম, আয়াতসংখ্যা, মাক্কি/মাদানী পরিচিতি ও মূল বিষয়বস্তু পাঠকের জন্য সহজভাবে সাজানো হয়েছে। ফলে কুরআনের পূর্ণ কাঠামো দ্রুত মনে গেঁথে রাখা যায়।
বইটির উপযোগিতা
সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যপূর্ণ:
যারা প্রতিটি সূরার সারসংক্ষেপ জানতে চান কিন্তু দীর্ঘ বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থ পড়ার সময় পান না—তাদের জন্য এই বই বিশেষভাবে সহায়ক।
ভিজ্যুয়াল টেবিল ফরম্যাট:
সূচকভিত্তিক টেবিল ব্যবহার বইটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এটি তথ্য অনুসন্ধান ও তুলনামূলক অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সহজপাঠ্য করেছে।
একাডেমিক ও লাইব্রেরি ব্যবহার:
ইসলামিক লাইব্রেরি, তথ্যকেন্দ্র কিংবা গবেষণাধর্মী পরিবেশে এ বই একটি মানসম্পন্ন রেফারেন্স রিসোর্স হিসেবে কাজ করবে।
সহজ ভাষা ও উপস্থাপনা:
জটিল ব্যাখ্যা এড়িয়ে সরলীকৃত ভাষা ব্যবহারের ফলে নতুন পাঠকরাও কুরআনের কাঠামো সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন।
লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট দৃষ্টিকোণ:
তথ্য সংগঠন, শ্রেণীবিন্যাস ও ইনডেক্সিং-এর দৃষ্টিকোণ থেকে এ বই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। প্রতিটি সূরার তথ্য গঠনমূলকভাবে সাজানো হওয়ায় এটি ইনফরমেশন রিট্রিভাল ও ডেটা অর্গানাইজেশনের কার্যকর মডেল হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
উপসংহার
“এক নজরে কুরআন” শুধু একটি ধর্মীয় বই নয়, বরং তথ্য সংগঠন ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনার চমৎকার উদাহরণ। এটি পাঠকের মনে কুরআনের প্রতি আগ্রহ জাগায় এবং দ্রুত অনুধাবনের সুযোগ করে দেয়। গবেষক, শিক্ষার্থী বা সাধারণ পাঠক—সবার জন্যই এটি একটি কার্যকর রেফারেন্স গ্রন্থ। একজন লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে করি, ইসলামিক লাইব্রেরি ও গবেষণাগারে সংযোজনযোগ্য একটি মানসম্মত তথ্যসম্পদ হলো এই বই।